Friday, April 26, 2024
spot_img
Homeকলকাতাপুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

পুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদানের পরিমাণ আরও বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সোমবার শহরের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন জেলার পুজো কমিটির কর্তারা।

পুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে ৪৩ হাজার পুজো কমিটির নাম নথিভুক্ত রয়েছে। তা ছাড়াও রয়েছে বাড়ির পুজো। পল্লির পুজো। আজকাল মেয়েদেরও ভালো পুজো হয়। রাজ্যে ২ হাজার ১৪১টি পুজো মহিলাদের। পুলিশ এবং বড় ক্লাবগুলির কাছে আমি গ্রেটফুল। তারা মহিলাদের ও ছোট ক্লাবগুলিকে সাহায্য করে। গত বছর পর্যন্ত মণ্ডপের বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত।

পুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

এবার সেই ছাড়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল ৬০ শতাংশ। পুজো মণ্ডপগুলির দমকলের খরচ, বিজ্ঞাপন-সহ বিভিন্ন কর লাগে না। এবারও সেই ধারা বজায় থাকছে। আগের মতোই পুজোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করা যাবে অনলাইনে।কেন্দ্র সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। রাজ্যের তহবিলের অবস্থা খারাপ। তার মধ্যেও কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।

পুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

গত বছর পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিত রাজ্য। এবার একধাক্কায় তা বেড়ে হল ৬০ হাজার টাকা।” এর পর ধাপে ধাপে পুজো পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছরই পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজোকে আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেস্কো। ১ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ দিয়ে বিরাট মিছিলের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার।

পুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

মমতা বলেন, ‘‘এ বার পুজো শুরু হয়ে যাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। কেমন পুজো হচ্ছে দেখতে, দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসবেন। তাই ১ সেপ্টেম্বর আমরা মিছিল করব। এ বারের মিছিল রাজনৈতিক নয়। কে কত সম্প্রদায়কে পাশে নিয়ে সুন্দর করে কাজ করতে পারে, সেটাই দেখা যাবে মিছিলে। সেখানে একা এলে হবে না। কার্নিভালে যেমন সবাই আসে, তেমন সকলকে নিয়ে আসতে হবে। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ দেব।

পুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

দুপুর ২টোয় জোড়াসাঁকোয় শুরু হবে জমায়েত। সেই দায়িত্ব তিনি তুলে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধায়ক অতীন ঘোষদের ওপর। ক্লাবগুলি নিজের মতো করে যোগ দেবে মিছিলে। মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য দুপুর ১টায় অফিস ছুটি দেওয়ার কথাও ঘোষণাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

স্কুলগুলিকে আগে ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জেলায় জেলায় একই সময়ে এই মিছিল হবে।’’ পাশাপাশি জেলাস্তরেও একই সময়ে এই মিছিল আয়োজনের কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে মহানগরীর এই মিছিলে ব্যাপক লোকসমাগম করতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।মু্খ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৫ থেকে ৮ অক্টোবর প্রতিমা নিরঞ্জন হবে।

পুজোয় ৬০ হাজার টাকার অনুদান ক্লাবগুলিকে, ছাড় বিদ্যুতেও

জেলায় ৭ অক্টোবর হবে পুজো কার্নিভাল। কলকাতায় ৮ অক্টোবর হবে সেই কার্নিভাল। ৯ অক্টোবর লক্ষ্মী পুজো এবং নবি দিবস। তাই ৮ অক্টোবরেই শহরে হবে বিসর্জনের কার্নিভাল। এ বার পুজোর ছুটি পড়ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। টানা ১১ দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে ১০ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর দিনে।

Most Popular