বিশ্ব সমাচার, বারুইপুর: বাংলায় দূষণের সরকার চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বাংলার লজ্জা। বাংলার সর্বনাশ করে দিয়েছেন। সোমবার বারুইপুরের পদ্মপুকুরে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আগে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন।
এখন আবার তৃণমূলে নিয়েছেন তাঁকে। কুণাল ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে সবচেয়ে বড় অপরাধী বলেছিলেন। তিনি এখন দলের মুখপাত্র। এঁরা টাকার লেনাদেনায় চলেন। মুখ্যমন্ত্রী দল থেকে বহিষ্কার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে? মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছেন? যদি না করেন, তবে সিজিও কমপ্লেক্সে ও ভুবনেশ্বরে গিয়ে ধরনা দিন তিনি। রাস্তায় যদি দলের সমর্থকরা নামে, মানুষ ঘিরে ধরবে। মুখ্যমন্ত্রী ধরা পড়া গিয়েছেন। পার্থর কত সম্পত্তি কেউ জানে না।
টাকা খোলামকুচি হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের নেতারা টাকা আর লালসার পিছনে দৌড়চ্ছেন। আমতলা, বাখরহাট, কুলপিতে কার জমি? বাংলার সর্বনাশ যাঁরা করছেন, তাঁরাই মসনদে। সুজনবাবু বলেন, বাচাল মুখ্যমন্ত্রী তিনদিন ধরে চুপ। তিনি বঙ্গবিভূষণ দিচ্ছেন যাঁদের, তাঁদেরকে কলুষিত করছেন। যাঁরা এই সন্মান পাচ্ছেন, তাঁদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে যাতে তাঁরা উপস্থিত থাকেন। অনেকেই পুলিশের চাপে গিয়েছেন। অনেকেই আবার যাচ্ছেন না। সততার প্রতীক লেখা বন্ধ করুন। এই টাকা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
পাপের টাকার ভাগীদার তৃণমূলের নেতৃত্ব। ফুলনদেবী, ডাকাতরানির মতো সর্বনাশ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুজনবাবু আরও বলেন, এই টাকার ভাগ আছে কালীঘাটে। ইডি চোরদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেবে কি না, তাতে সন্দেহ আছে। সুজনবাবু বলেন, বিজেপিতে আসার আগে সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে আসার আগে সব অপরাধ করে এসেছেন।
এই দায় বিজেপির। বিজেপি তৃণমূলকে বাঁচাতে চায়। তিনি আরও বলেন, সব অপরাধীদের জায়গা হয়ে গিয়েছে এসএসকেএম। ওড়িশার ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে ডাক্তাররা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তির নির্দেশ দেননি। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তাররা তাঁকে ভর্তি করে রেখেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ইডির তৎপরতায় সোমবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বরে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে ডাক্তাররা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি না করেই ছেড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, শুধু ওষুধ খেলেই চলবে। সুজনবাবু বলেন, এসএসকেএম হাসপাতাল একটা পরিহাসে পরিণত হল। মানুষের কাছে দেশের কাছে লজ্জার হয়ে দাঁড়াল এই এসএসকেএম হাসপাতাল।