স্টাফ রিপোর্টার: সোমবার শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন ও ফুলবাগান থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট রুটের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে বিস্তর টানাপড়েন তৈরি হয়। অবশেষে রবিবার জানা যায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাবে রেল।
সেই সঙ্গে ওই এলাকার সাংসদ ও বিধায়কদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই পর্যায়ে রবিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে যায় মেট্রো রেলের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র।উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সকলেই শাসকদল তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত প্রতিনিধি।
যদিও মেট্রো রেলের চিঠি পাননি বলে দাবি করেছেন অরূপ রায়। তবে মেট্রোর দাবি তারা উদ্বোধনের চিঠি পাঠিয়েছেন। ওদিকে চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর স্পষ্ট কথা, যেভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা চূড়ান্ত অসম্মানের।একই কথা কুণাল ঘোষেরও। তিনি বলেন, “যে পদ্ধতি আমন্ত্রণগুলো করা হয়েছে। আগের রাতে গিয়ে একটা কার্ড ফেলে আসা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
এটা চূড়ান্ত অপমানজনক ও শালীনতা বিরোধী।”এদিকে সোমবার তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনের অনুষ্ঠনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও আমন্ত্রণ পত্রে নাম নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকী নাম উল্লেখ করা হয়নি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। কাজেই এই নিয়ে তুমুল বিদ্রোহ শুরু করেন টিএমসি নেতারা।
শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নাম রয়েছে আমন্ত্রণ পত্রে। পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন টিএমসি নেতারা। তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেন আমন্ত্রিত টিএমসি নেতা-মন্ত্রীরা।মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি তরজা পৌঁছয় চরমে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, কোনওদিন যেন না ডাকে। কেন্দ্রের টাকা নিয়ে সৌজন্য দেখানো হয় না। বিরোধী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তৃণমূল কোনও অনুষ্ঠানে ডাকে না।’ পাল্টা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাজ্যের টাকাই রাজ্য পায়, ভিক্ষা চাইছে না। স্বেচ্ছাচারিতা করছে কেন্দ্র।’