অমিত মণ্ডল ও রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, বকখালি: নদী থেকে অবাধে চুরি হয়ে যাচ্ছে সাদা বালি। রাতের অন্ধকারে ছাড়াও দিনের আলোতেও ভ্যানবোঝাই করে বালি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জের বকখালি পর্যটন কেন্দ্র। এবার হাতেনাতে কয়েকজনকে ধরে ফেললেন স্থানীয়রাই। যেখানে সমুদ্র ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে, সেখান থেকে বালি সরিয়ে নেওয়া হলে পরবর্তীতে বড় বিপদ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, বকখালিতে ঢোকার রাস্তায় সাদা বালি বোঝাই বেশ কয়েকটি মোটরভ্যান নামখানার দিকে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ৬টি সাদা বালিভর্তি ভ্যানকে আটক করেন ফ্রেজারগঞ্জের ক্লাবঘর বাসস্ট্যান্ডের কাছে। চালকদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলেন তাঁরা। কিন্তু ভ্যানচালকরা কোনও রসিদ দেখাতে পারেননি।
ভ্যান আটকে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায়। পুলিশ এসে ৬টি মোটরভ্যানকে আটক করে। পাশাপাশি ৬ জন চালককে গ্রেপ্তার করে।স্থানীয় বাসিন্দা অসিত বিশ্বাস বলেন, একটার পর একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হচ্ছে নামখানা ব্লক। তার উপর অবৈধভাবে বালি নিয়ে যাওয়ার ফলে তার প্রভাব পড়ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্যে।
এ বিষয়ে গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান শ্রীমন্তকুমার মালি বলেন, ওই বালিগুলি উড়ে এসে বকখালি পর্যটন কেন্দ্রের সৈকতে থাকা দোকানগুলির সামনে স্তূপাকার হয়েছিল। মৌখিকভাবে বকখালি ফরেস্ট ও গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি আলোচনা করে ব্যবসায়ীদের বালিগুলি সরিয়ে নিয়ে বলেছিল।
কিন্তু বালি সরাতে গেলে শ্রমিকের খরচ দেবে কে? তাই ব্যবসায়ীরা বালি বিক্রি করে শ্রমিকের খরচ তুলছেন। নামখানার বিডিও শান্তনু ঠাকুর বলেন, আমি বিষয়টা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।বিজেপি নেতা বারীন্দ্রনাথ দাস বলেন, শাসক দলের নেতারা সবই জানেন। ভ্যানচালকদের আটক করে শাসক দলের নেতাদের আড়াল করা হচ্ছে।
শাসক দলের নেতাদের মদতেই ধ্বংস করা হচ্ছে বকখালিকে। নিজেদের স্বার্থে বাড়ি বিক্রি করে মুনাফা লুটছে শাসক দল।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় বকখালি বিপন্ন হতে পারে। সমস্যার দরুন বালি বিক্রি করতে হলে কেন আগাম ঘোষণা করা হয়নি?