
স্টাফ রিপোর্টার : দশমীর প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য গঙ্গায় ১৭টি ঘাটে প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ । নবান্নের নির্দেশ মেনে আগামী চারদিন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে। আগামী ১৮ অক্টোবর, সোমবার বিসর্জনের শেষদিন। করোনাবিধি মেনে বিসর্জন হয় সেদিকে যেমন কলকাতা পুলিশের নজর রয়েছে। একইসঙ্গে বিসর্জন দিতে গিয়ে কোথাও যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রেখে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে।
শুক্রবার ১৫ অক্টোবর দুপুর তিনটে থেকে গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।একই সঙ্গে ১৮টি লাইফ সেভিং বোট গঙ্গাবক্ষে টহলদারি চালাবে। সঙ্গে ২৪টি নৌকায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাবে রিভার ট্রাফিক পুলিশ। শহরের ৩৪টি পুকুর ঘাটে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় থাকবে পুলিশ পিকেট। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার পথগুলি যেমন এই তালিকায় থাকছে, একই সঙ্গে থাকছে জনবহুল বিভিন্ন এলাকাও।
কোথাও যেন কোনও ভাবে অতিরিক্ত জনসমাগম না হয় সেদিকে যেমন নজরদারি চলবে, একইসঙ্গে কোথাও যেন শৃঙ্খলায় বিন্দুমাত্র আঘাত না লাগে তাও নজরে রাখা হবে। বিসর্জনের পুলিশি ব্যবস্থাপনায় থাকবেন কলকাতা পুলিশের তিনজন জয়েন্ট সিপি। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ-এর বিশেষ উদ্ধারকারী দলও তৈরি থাকছে। একটি দলে স্কুবা ডাইভিং সেট-সহ পাঁচজন বিশেষ প্রশিক্ষিত ডিএমজি ডুবুরি থাকবেন। স্পিড বোটে টহল দেবে এই দল।
অন্য একটি টিম থাকবে রিভার ট্রাফিক পুলিশের লঞ্চে।এ বছরই গঙ্গার তীরে হেস্টিংসে প্রতিমা বিসর্জনে দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে পুরসভা। পুরপ্রশাসক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “বিসর্জনে দূষণ নিয়ে অভিযোগ কাটাতেই হেস্টিংসে দই ঘাটের কাছে গঙ্গার ঘাটে গঙ্গাজল দিয়েই হোসপাইপ ব্যবহার করে প্রতিমা গলানোর উদ্যোগ নিয়েছি।”