
স্টাফ রিপোর্টার : বিধিনিষেধ উড়িয়ে একাধিক মণ্ডপে জনতার ঢল নেমেছিল মহালয়ার পরদিন থেকেই।ভিড়ের ছবিটা সব থেকে বেশি উদ্বেগের ছিল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপের সামনে।শনিবার অবশ্য একই রকম ভিড় দেখা গিয়েছে ওই মণ্ডপের বাইরে। দূরত্ব-বিধি পালনের দায়িত্ব বোধ তো দূর, সেখানে হাজির অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না। এ নিয়ে শ্রীভূমির পুজোকর্তাদের সরাসরি সতর্ক করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, এ বিষয়ে দ্রুত সতর্ক না হলে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।
পাশাপাশি, ওই মণ্ডপের উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চাওয়া হয়, এত উঁচুতে লেজ়ার আলো লাগানো হল কী ভাবে? মণ্ডপের কাছেই বিমানবন্দর। ফলে বিমান চলাচলের বিষয়টি কি কারও মাথায় আসেনি? দমকল এবং পুলিশ কী ভাবে এমন মণ্ডপ তৈরির অনুমতি দিল, সেই প্রশ্নগুলোও উঠেছে। তবে ভিড়ের নিরিখে পিছিয়ে নেই শহরের অন্য মণ্ডপগুলিও। চেতলা অগ্রণীর পুজোকর্তা সমীর ঘোষের দাবি, তাঁদের মণ্ডপের কাছেও পরিস্থিতি একই রকম। তাঁর কথায়, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। ভিড়ে কে কাকে টেক্কা দিচ্ছে, এখন থেকেই সেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
সুরুচিসঙ্ঘের পুজো উদ্যোক্তা কিংশুক মৈত্রের দাবি, তাঁদের মণ্ডপের কাজ এখনও শেষ না হলেও ভিড় ভিতরে ঢুকে আসছে। যা আটকানো যাচ্ছে না। দেশপ্রিয় পার্কের পুজো মণ্ডপে এখনও প্রতিমা আসেনি। তবু হাজির উৎসাহী জনতা। বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব ও প্রদর্শনীর পুজোকর্তা গৌতম নিয়োগী আবার বললেন, ‘‘এখন থেকেই যা লোক হতে শুরু করেছে, তাতে এ বার ভয় লাগছে। আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি।
ভিড় করে লোকে সেই কাজও দেখছেন।’’হাতিবাগানের কাশী বোস লেন আবার ভিড় এড়াতে সন্ধ্যায় মণ্ডপের আলো নিভিয়ে রাখছে। কিন্তু পুলিশ কী করছে? কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বলেছেন, ‘‘চতুর্থীর দিন থেকে পুলিশি বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে।পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।’’