বিশ্ব সমাচার, বাসন্তী : আচমকাই নদী বাঁধে ধ্বস নেমে তলিয়ে গেল ১৬টি ঘরবাড়ি। শুক্রবার ভোরে বাসন্তী ব্লকের বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গৃহহীন মানুষদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন। তবে ওই নদিবাঁধে ফাটল ধরেছে, সেই খবর আগাম ছিল ব্লকের কাছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে বৃহস্পতিবার বহু পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। তাই এদিনের এই বিপত্তির ফলে প্রাণ সংশয় হয়নি। এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরের দিকে হোগল নদীতে জোয়ার চলছিল। দুর্বল নদী বাঁধ এবং গত কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে মাটি ক্রমশ আলগা হয়ে গিয়েছিল। ওই জায়গায় ফাটলও ধরা পড়ে। বড়সড় বিপত্তি ঘটতে পারে বলে একটা আশঙ্কা ছিলই। আর এদিন সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকাই ধ্বস নেমে, নদীর গ্রাসে চলে গেল বহু ঘরবাড়ি। নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছেন ৭০ থেকে ৮০ জন। জানা গিয়েছে, ১৩টি পরিবার নিজেদের আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে এবং বাকিদের একটি স্কুলে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
প্রায় সর্বস্ব খুয়েছেন এই সব পরিবারের সদস্যরা। ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু উদ্ধার করার মত পরিস্থিতি নেই। তবে ওই এলাকায় আরও এমন বহু বাড়িঘর রয়েছে, যেগুলি বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। তদের দ্রুত বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে সেখানেও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা বলেন, নদীবাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে অনেকদিন আগেই সকল বসবাসকারীকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু কেউ সরে যাননি। এছাড়াও নদীবাঁধ ভেঙে যেতে পারে তার জন্য এলাকাবাসীদের বৃহস্পতিবার সতর্ক করা হয়েছিল। দুর্গতের পর্যাপ্ত পরিমান ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার জেরে আবারও কংক্রিটের নদী বাঁধের দাবি জোরাল হচ্ছে। প্রশাসনের দাবি, এই বসবাসকারীরা সরে না যাওয়ায় সেচ দপ্তর এখানে ঠিক মত কাজের পরিকল্পনা করতে পারেনি।
তবে আগামীদিনে এই ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় নতুন করে মাটি ফেলে কাজ করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত ওই জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। কেউ যাতে কাছাকাছি না যান, তার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।