বিশ্ব সমাচার, নামখানা: বদলির প্রতিবাদ জানিয়ে পাঁচ শিক্ষিকা বিকাশ ভবনের সামনে গত ২৪ আগস্ট বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ওই পাঁচ শিক্ষিকাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর চার শিক্ষিকা সুস্থ হলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা এলাকার ফ্রেজারগঞ্জের পুতুল মণ্ডল আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিউতে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন।
কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর বুধবার রাতে ফ্রেজারগঞ্জের অমরাবতী গ্রামের নিজের বাড়িতে পুতুল মণ্ডলকে আনা হয়। একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে পুতুল মণ্ডলকে তাঁর বাড়িতে দিয়ে যায় পুলিশ। এই সময় তাঁর বাড়ির সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল। পুতুল মণ্ডলের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে অমৃত মণ্ডল এবং বিষ খাওয়া আরও দু’জন শিক্ষিকা।পুতুল মণ্ডলকে দেখার জন্য এলাকার মানুষজন ভিড় জমায় তাঁর বাড়ির সামনে। গাড়ি থেকে নামার সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
এমনকি তার নাকে রাইস টিউব লাগানো রয়েছে। তাঁর বাড়ির লোকজন তখনই পুলিশকে জানান, এই অবস্থায় তাঁ রোগিণীকে বাড়িতে রাখতে পারবেন না। তাঁর দেখভালের জন্য একজন নার্স ও একজন ডাক্তারের প্রয়োজন। পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়ির লোকজন এবং ওই দুই শিক্ষিকা বারবার বলতে থাকেন, পুতুল মণ্ডল এখনও পুরোপুরি সুস্থ নযন। তবুও জোরজবস্তি করে কেন পুলিশ পুতুলকে বাড়িতে দিয়ে যাচ্ছেন। এরপর যদি পুতুলের কিছু হয়ে যায়, তার দায়ভার কে নেবে? কিন্তু পুলিশ কোনও কথা না শুনে পুতুলকে দিয়ে চলে যায়।
ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানেই ওই আন্দোলনকারী দুই মহিলা শিক্ষিকা এবং পুতুলের ছেলে অমৃত মণ্ডলের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁদের। তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, পুতুল মণ্ডলের খবর তাঁরা সব সময় রাখবেন। কিন্তু এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তৃণমূল নেতারা স্লোগান দিতে থাকেন।
তারপর সকলের সহযোগিতায় পুতুল মণ্ডলকে তাঁর বাড়িতে ঢোকানো হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে অনীমা নাথ তাঁদের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাত ন’টা নাগাদ পুতুল মণ্ডলকে হাসপাতালে চিকিৎসা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।